ক্ষুধার রাজ্যে পিদিম জ্বলে
ললাট ঠুকে দ্বারে
কিভাবে আমরা বেঁচে আছি
কাঠ ঠোকরা ঠুক ঠুক হৃদয়ে।
তথাপি ক্রমশ পালিয়ে বেড়ায় সভ্যতার মৌনতা
গহীন নিশিতে অবুঝের আর্তনাদ শুনে ক্রন্দনে কাঁপে সততা।
শূন্য বুকটা ধরু ধরু কাঁপে অবুঝ শিশুর মুখপানে
কি করে খাবার তুলে দেবো তার নিরন্ন ললাটে
চারিদিক খাঁ খাঁ রোদ্দুর তাড়া করে মোরে
সাইরেন বাজে তীব্র স্বরে বুকে
ভাত দাও ভাত দাও একটু ঘুমাই সুখে
অমানিশার আঁধার তুটে ছুটে যায় পা দুটো
ক্ষুধার জ্বালায় সিক্ত হয়েছে কতো কাঁপন মুড়ে অশ্রু।
সেদিনগুলি গত হয়েছে পাল্টে গেছে ফ্রেম
সভ্যতার ক্ষুদায় খনন হয় বুক তথাপি পথ চলি একাগ্রতা
সততা দুর্বোদ্ধ হেরেম।
এভাবে আমার সময়ে বেঁচে আছি অশুভ টানা পোড়নে
হায়াত নিয়তির দৃঢ়তায় মরে মরে বাঁচি অরণ্য রোদনে।