উপেক্ষিত প্রতীক্ষা

আমি বসেছিলাম নীলাদ্রির দ্বারপ্রান্তে,
তোমার অপেক্ষায়,
পাখির কুঞ্চনে মুখরিত পরিবেশ
ছিল তোমার প্রতীক্ষায়।
তোমার পছন্দের বেলীফুল নিয়ে এসেছিলাম,
তুমি ভালোবাস বলে।
কুণ্ঠিত বাঁধা বিদীর্ণ করে জানি তুমি আসবে,
আমার হৃদয়কলে।
শুভ্রসাজে সেজেছিলাম যেমনটা
করতে পছন্দ সবসময়,
শুধু বলতে — আমার হাসি,আমার বচন,
তোমাতে আমি শোভাময়।

কিছুদিন ধরে অজানা আড়ালে,
তুমি যেন খুব দূরত্বে,
ব্রত বিশ্বাস দোলাচলে দোলে,
দ্বিধাদ্বন্দের গুরুত্বে।
ফোন যত দিই মুঠোফোন তোমার
অনেকদিন ধরে ব্যস্ত,
খোঁজ নিয়ে জানলাম ফেসবুকে তুমি যেন
কীসের নেশায় ন্যস্ত।
বন্ধুদের বাঁধিকায় যে মানুষ ছিল,
হাজারো কলরবে বিমোহিত,
সে মানুষ যেন গোপন বইয়ে
কেন নিষ্প্রভ সমাধিত!

তবু বসেছিলাম, বসে থাকব এই ভেবে,
আসবে না তুমি যতক্ষণ,
কথা দিয়েছিলে, কথা রাখবে জানি,
সময় যত যাক অনেকক্ষণ।
সাঁঝের আলো যখন নিভু নিভু,
পাখিরা ফিরছিল নীড়ে,
অপেক্ষায় তখনো ছিলাম, আসবে বলে,
আমার সব সংশয় ছিঁড়ে।

আজ আমি তোমাতে নেই। তুমি আসোনি।
জানি আর কখনো আসবেওনা।
পরনারীর গ্রাসগ্রহণে, আমার ডাক,
জানি,তুমি কখনো শুনবেওনা।
জেনে রেখ, নোংরা আর নষ্ট কে
স্বাগত জানিয়েছ তুমি,
আমার একাকিত্ব, তোমার নোংরামি
পদচারণার চেয়েও দামি।

অবশেষে আমার প্রতীক্ষার অবসানে,
বুঝে নাও ছিলাম আমি কে?
সবশেষে তোমার উপেক্ষার বলয়ে,
জেনে গেলাম, ছিলে তুমি কে?
সব অনুযোগে বিদায় নিল,
আমার আহত সাধের অপেক্ষা,
অভিমানের অলিতে গলিতে আজ বিলীন,
আমার বিচূর্ণ উপেক্ষিত প্রতীক্ষা।


লেখাঃ শারমিন সুলতানা বুবলী

Scroll to Top