নিমগ্ন প্রহর

বিষাদের নীল জলে স্নান করে
নিজেকে করেছি পরিশুদ্ধ,
তুমি অন্তহীন সুদূর হতে ডাকলে আমায়
মায়াভরা দুটি চোখে জল টলোমলো
আমি ফেরাতে পারিনি তোমায়,
তাকিয়ে দেখেছি শুধু
 
চৈত্রের তপ্ত বিকেলে
রাজহংসগুলো যখন জলকেলিতে মগ্ন
তুমি এসে দাঁড়ালে তখন,
নিজের অজান্তেই কাঁদলো বিকেল
কালবৈশাখি ঝড় এসে
ভিজিয়ে দিয়ে গেল ভিতর বাহির!
আমি সীমাহীন মুগ্ধতায়
চেয়ে দেখেছি শুধু
 
বৈশাখের খরতাপ এখন নেই
প্রকৃতি কিছুটা শান্ত, বিমুগ্ধ…
মনোজগতে অকারণে ভীড় করে বিষন্নতা,
কি যেন থেকেও নেই
দূরে বহুদূরে হাতছানি দিয়ে ডাকে আমায়!
 
আমি সুদূর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেই,
নিজেকে ভাসাই এক নান্দনিক
কথার মালায়
জেগে থাকি আধো আধো চোখে,
কল্পলোকের সুরের ভেলায় ভেসে
দেখে নেই আর একটিবার
সব কিছু ঠিকঠাক আছেতো?
 
মায়াবী জোৎস্না মেখে তুমি এসেছো
পুরোনো ক্ষত গুলো খুব আদরে,
অতি যতনে সারিয়ে তুলেছো তুমি!
 
বল, কেমন করে তোমাকে হারাই
এই অবেলায় আমি।
 

লেখাঃ সেলিনা শিউলি

Scroll to Top