ক্রান্তিলগ্ন সময়ের প্রতিকূল যুক্তির কাছে
আমি বরাবরই হেরে যাই।
বাস্তব সংলাপের ভীড়ে মানবতার প্রতিউত্তর
আমি আদৌ খুঁজে না পাই।
ছোট্ট এক ইতিহাসের পাতা থেকে
ঘুরে আসা যাক সময়টা ১৮৮৬ সাল।
যে সময়ে বুনন হয়েছিল অধিকার আদায়ের
শ্রমজীবি মানুষের সোনালী কাল ।
যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে শ্রমের ন্যায্য দাবিতে হয়,
শ্রমজীবি মানুষের তীব্র আন্দোলন।
কত নিরীহ মানুষের প্রাণ গেছে সেদিন!
সেই থেকে শুরু শ্রমিক দিবসের আলোড়ন।
১৮৯০ সাল থেকে ১লা মে শ্রমিক দিবস
হিসেবে হয়ে আসছে পালিত।
শ্রমজীবি মানুষের মূল্যবোধ হওয়া উচিত
প্রতিটি সমাজে লালিত ।
আমি সংগ্রামী জনপদ দেখেছি যেখানে
ভাগ্যের সাথে চলে বেঁচে থাকার লড়াই।
সেখানে আত্মসম্মান আর শ্রমের ঘামের কণার
ব্যঞ্জনে তৈরী হয় অনুপ্রেরণার বড়াই।
আমি কন্টকাকীর্ণ মানবতা দেখেছি যেখানে
ক্লান্তির কষাঘাতে থেমে থাকে না পদযুগল,
স্বাদ,সাধ্য আর স্বপ্নের বেড়াজালে মোড়ানো
বেখেয়ালের জীবনটা যেন দখল।
কর্মময় বন্ধুর পথে মানবতার নিরব ভাষার দ্বন্দ্ব
কোথায় শেষ তা কেউ খুঁজে না।
শুধু জানে, যে নিরবতার ভাষা বুঝে না,
সে চিৎকারের ভাষাও বুঝে না ।