যদি জিজ্ঞেস করো নজরুল না রবীন্দ্রনাথ?
আমি বলব রবীন্দ্র।
নজরুলের বিদ্রোহী সত্ত্বা আপন হৃদয়ে ম্রিয়মাণ
রবীন্দ্র সৃজনের প্রকৃতি প্রেম,
মোর রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিদ্যমান।
নজরুল কণ্ঠের বলিষ্ঠতা ।
প্রতিবাদ, প্রতিরোধের স্পৃহা ।
মোর হিয়ার মাঝে নেই,
সেই দুঃসাহসের তীব্রতা।
নিতান্ত অবলা এক প্রাণীর ন্যায় ,
ধরিত্রীর বুকে চড়ে বেড়ানো।
রৌদ্র তপ্ত দুপুরে
বটতলায় বসিয়া ;
পাকুড় গাছের
মূল, কাণ্ড আর পল্লবের দিগন্তে
অপলক চেয়ে থাকা
মোর অস্তিত্বের অংশ।
কিংবা বাদল দিনে
জলধারার দিকে
একলা চেয়ে থেকে
রবীন্দ্র শিল্পের বুলি আওড়ানো
এক ঘোর চেপে বসে।
রবীন্দ্র সাহিত্যর রেশ
অন্তরে লেগে রয় ।
পক্ষান্তরে নজরুল সাহিত্য
মরমে উষ্ণতা দিয়ে যায় বেশ।
তবুও জানি মোর কন্ঠ দৃঢ় নয়
নেই তাতে বজ্রাঘাতের চিহ্ন
দেয়ালে পিঠ ঠেকাবার আগে
প্রতিবাদের সুর শানিত হয় নি আজো।
ওষ্ঠাধর চেপে
গ্লানির অশ্রু বাহিত হয় বিন্দু বিন্দু।
রবীন্দ্র নজরুল সাহিত্যের
হাজারো দিগন্তের মাঝে
মোর হৃদয় কেবলই
রবীন্দ্র জীবনের প্রকৃতি প্রেমের
সহিত সীমাবদ্ধ ও আবদ্ধ।
এখনো মনে পড়ে যায়
সেই গ্রীষ্মের দুপুরে
রবীন্দ্র সংগীতের মোহ মায়ায়
আবদ্ধ হয়ে রচিত আপনার
প্রথম কবিতা।
বরাবরই বলে থাকি
রবীন্দ্র কাব্য মোর অনুপ্রেরণায়।
এর ভাষা ও
স্নিগ্ধতা
অন্তরের কিনারে
ফুলিয়া ফাঁপিয়া উঠে।
রবীন্দ্র জীবনাদর্শ, জীবনাবাস
কেবলই যেনো আপন চর্চার বিষয়াদি
মনে হয়।
শিল্পপ্রীতি ,সাহিত্য চর্চা
চিত্রশিল্পের প্রতি একাগ্র ঝোঁক
রবীন্দ্র প্রতিভার ভিন্ন অংশ হলেও
এসবের সাথে মোর জীবনাদর্শ দন্ডায়মান।
এসবের সাথে মোর জীবনাদর্শ দন্ডায়মান।