আমি মায়ের চোখের মণি
পিতার আদুরে কন্যা,
নিষ্ঠুরতার দাবানল রুধি
বহাই দরদ বন্যা।
আমি জুলেখা, আমি রাবেয়া
নবী- নন্দিনী ফাতেমা,
রাহুগ্রাস হতে বাঁচাতে স্বদেশ
প্রীতিলতাসম কাঁদি মা।
আমি অন্ধকারের দেয়াল ভেঙেছি
মহিয়সী নারী রোকেয়া,
বিশ্ব ভূবনে উঁচু শির আমি
কোরাজন, আমি সোফিয়া।
প্রিয় স্বদেশ প্রেমেতে বন্দী হৃদয়
তার তরে গৃহহারা
ক্রান্তিলগনে, মায়ের চরণে
তারামন, আমি সেতারা।
গৃহ ছাড়ি ঘুরি আশ্রমে
ঘুচি ক্রন্দন, আমি আশা
নিজ সুখ দেই জলে অঞ্জলী
আমিই মাদার তেরেসা।
আমি রজকিনী, আমি লাইলী
ক্লিওপেট্টা, আফ্রেদিতি
দশভূজা দেবী দূর্গা, আমি
হেলেন, নেফারতিতি।
আমি নারী, আমি শিরী, আমি-
শাহজাহানের মমতাজ
সন্মুখ সমরে তাহমিনা আমি
অঙ্গে জড়াই রণসাজ।
আমি কবিতা, আমি সভ্যতা
সরোবরে ফোটা তাজা ফুল
জঠরে ধরেছি শত রুস্তম
রবীন্দ্রনাথ, নজরুল।
আমি উর্বশী, আমি এলোকেশী
আমি হাস্নাহেনার গন্ধ
আমি দিবালোক, আমি শুভালোক
করি অশুভর সাথে দ্বন্দ্ব।
শত পুস্পরে ফোটাই যতনে
আমি আলোকের পথযাত্রী
কচি অন্তরে বুনি স্বপ্নের বীজ
ঘুচে দেই কালো রাত্রী।
আমি জয়শ্রী, আমি কামিনী
আমি বিধাতা সৃষ্ট কবিতা
ক্ষুধাতুর মুখে অন্নদায়িনী
আমি নারী, আমিই জয়িতা।