নির্যাতিতার কান্না

একদিন ফুটফুটে এক শিশু জন্ম নিলো। মা বাবার বুক আলো করে, খুশীতে আত্মহারা তাঁরা, হ্নদয়ের সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে বড় করতে লাগলেন তাঁদের রাজকুমারীকে।

মধুর শৈশবের পর এলো যৌবন, মেধাবী মেয়ে হলো ডাক্তার। মা বাবার কষ্টের পুরষ্কার।

ডাক্তার প্রেমিকের সাথে পবিত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে, দীর্ঘদিনের প্রেমকে আপন করে নেবার স্বপ্ন দেখলো দুজন।

কিন্তু এক কালরাতে কালবৈশাখীর তান্ডবে সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হলো;

মধুময় বাসর, ফুলশয‍্যার তাজা ফুলের সুবাস ব‍্যর্থ হয়ে গেলো কামনা লোলুপ কতগুলো বিকৃত পাষাণ, মানুষ নামের কলঙ্ক।

অসহায় এক হতভাগিনীর নগ্ন শরীরকে লালসার আগুনে পুড়িয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দিলো নরপিশাচেরা, নির্মমভাবে অমানুষিক কষ্ট দিয়ে শেষ করলো সুন্দর ফুলের মত এক সম্ভাবনাকে,

কি দোষ ছিলো তার?

ঠিক যেভাবে মেরেছে নিষ্পাপ একটি প্রাণকে, তার থেকেও ভয়ংকর যন্ত্রণা দিয়ে শাস্তি দেওয়া হোক ঐ কালনাগগুলোকে। তবেই শান্তি হবে মোদের, জানি তারপরও ফিরে আসবে না সে আর,

মনে প্রাণে চাই আর যেন কোনো রাজকুমারীকে দিতে না হয় পবিত্র দেহের আহুতি, হয় না যেন আর পৈশাচিক লোলুপতার নিরুপায় শিকার।।

লেখাঃ নাজনীন রহমান

Scroll to Top