হাসিখুশি, উচ্ছল, প্রাণবন্ত, উদ্যমী মেয়ে। দ্বিধা, জড়তাকে উপড়ে ফেলে যে মেলে ধরেছে লাল সবুজের পতাকা। বারংবার বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে এনে দিচ্ছে নারীরা, সবক্ষেত্রে নারী আজ সুনামের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে, সফল হচ্ছে। বাংলাদেশে যার নামের সাথে সফল বা বিজয়ী শব্দটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক মহিলা আম্পায়ার, দাদির দেয়া নাম সাথিরা, মা ডাকে জেসী বলে, সম্পূর্ন নাম সাথিরা জাকির জেসী। তার সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার আগ্রহ ছিল, বহুদিন পর সময় মিলে গেল, গত ১৪ জুলাই। সেদিন বিকেলে মিরপুর স্টেডিয়ামে একাডেমির অফিসে বসে জমে উঠেছিল আলাপ জেসীর সঙ্গে, সে আলাপে মেমসাহেব-এর জন্য একটি সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন তিনি। প্রিয় পাঠক-পাঠিকা সেই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হলো আপনাদের জন্য ।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ : ইলোরা শারমিন
আপনার মেয়েবেলার গল্প শুনতে চাই?
আমি খুবই দুরন্ত প্রকৃতির ছিলাম। ছেলেবেলাটা কাটে রংপুরের পাটগ্রামে, অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি। আমি সাইকেল চালাতে পারতাম, বাইক চালানোটা ক্লাস সিক্সে পড়ার সময় বাবা শিখিয়েছে। প্রায়ই দুষ্টুমি করে গাছে উঠে বসে থাকতাম। গাছ থেকে আম পাড়তাম, আব্বু লাঠি নিয়ে গাছের নীচে দাঁড়িয়ে থাকতো। ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে ঝগড়া হলে, মারামারি করতাম। সেজন্য আম্মুর কাছে অনেক বকুনি খেয়েছি।
শৈশবের স্কুলের কোনো ঘটনা মনে পড়ে কী আজকের দিনে এসে যা আপনাকে ভাবায়?
ছোটবেলায় ছেলেদের সাথে ক্রিকেট খেলতাম। সবাই অন্যভাবে দেখতো, আরেহ একটা মেয়ে ক্রিকেট খেলতে এসেছে। আমার স্কুলের নাম তাহেরা বিদ্যাপিঠ কেজি স্কুল। ক্লাস থ্রিতে পড়ার সময় স্কুল থেকে ইসলামিক কেজি স্কুলের সাথে ক্রিকেট খেলতে যাই। খেলার সব আয়োজন সম্পন্ন হবার পর, খেলা শুরু হবে যখন দেখলো একটা মেয়ে আছে দলে, তখন তারা বলল না আমরা খেলবো না। আমার বন্ধুদের কথা এখনো মনে আছে, ওরা বলেছিল সাথিরা না খেললে আমরাও কেউ খেলবো না। আরো অনেক খেলোয়াড় মাঠে ছিল, ওরা চাইলে আমাকে ছাড়া খেলতে পারতো। কিন্তু না, বন্ধুরা আমাকে ছাড়া সেদিন খেলেনি। মাঠ থেকে ফিরে এসেছে। আমি ওদের পুরো সহযোগিতা পেয়েছি, সবসময় আমার পাশে পেয়েছি। পুরো এলাকাবাসী, আমার স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকরা, সহপাঠীরা সবসময় আমাকে এগিয়ে দিয়েছে সামনের দিকে। এসব ঘটনা আমাকে অনুপ্রেরণা দেয়, আমাকে ভাবায়। সেদিনগুলো খুব মিস করি। এখনো ছুটিতে বাড়ি গেলে বন্ধুদের সাথে দেখা হয়, আমরা আড্ডা দেই, ঘুরি-ফিরি। বেশ মজার সময় কাটাই।
আপনার ক্রীড়াজগতে প্রবেশের শুরুটা বলবেন কী বিস্তারিত?
২০০০-সালে, আমি যখন বিকেএসপি-তে ভর্তি হতে এলাম তখন মেয়েদের ক্রিকেট খেলা শুরু হয়নি। এখন ফিরে গেলে আর খেলাধুলা করা হবে না, কারণ সবকিছুর একটা পারফেক্ট সময় থাকে। তাই বিকেএসপি-তে শূটিং-এ ভর্তি হয়ে গেলাম। আমি পড়ালেখাতে বরাবর ফার্স্ট ছিলাম, আব্বু আম্মুর ইচ্ছে ছিল ক্যাডেটে/ ভারতেশ্বরী হোমসে ভর্তি করিয়ে দেবে। বিকেএসপি-তে ভর্তি না হলে এ দুটোর একটাতে ভর্তি হতাম। বিকেএসপি-তে এসে আমার প্রফেশনাল খেলাটা শুরু। ২০০৭ সালে তখনও ক্রিকেট শুরু হয়নি, খবর পেলাম ঢাকায় মেয়েদের ক্রিকেট প্রশিক্ষণ শুরু হতে চলেছে। ঢাকায় এসে প্রথমেই জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়ে গেলাম।
এদেশের নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য আপনার ব্যাক্তিক অর্জন একটি অনুপ্রেরণা, এটাকে কীভাবে দেখেন আপনি?
মেয়েদেরক্ষেত্রে সামাজিক, পারিবারিক, পারিপার্শ্বিক চ্যালেঞ্জটা অন্যদের চেয়ে বেশি থাকে। অনেক কিছু চাইলেই এড়ানো সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে এতকিছু মোকাবেলা করে, যে ফলাফলটা পাওয়া যায় সেটা নিজের জীবনে অনেকবেশি অনুপ্রেরণা দেয় সাহস দেয়।
একজন নারী হিসেবে নিজেকে কতটা বাঁধার মুখে পড়তে হয়েছে, যা আপনার নিকট কঠিন এবং অনতিক্রম্য মনে হয়েছে?
পরিবারের বাঁধা না থাকলেও আশেপাশে পরিবারের বাইরের মানুষেরা ভালোভাবে দেখেনি। বাবা-মা আমাকে স্বাধীনতা দিয়েছেন। আমি ক্রিকেট ভালো খেলতে পারি এবং ক্রিকেটার হতে চাই, এসব নিয়ে তারা কখনো দ্বিমত পোষণ করেননি। আশেপাশের মানুষ যত যাই কিছু বলুক না কেন, তারা বরাবর আমার মতামতকে প্রাধান্য দিয়েছেন। প্রথম যেকোনো কিছু শুরু করাই কষ্টসাধ্য, এটা নারীপুরুষ উভয়ের জন্যই সত্য। পুরুষদের জন্য কিছুটা কম কষ্টকর, কারণ সমাজ এতে অভ্যস্ত। ২০২৪ সালে এসেও অনেক পরিবার নারীদের স্কুলের/ব্যাংকের চাকুরি ছাড়া ভাবতে পারে না। আর আপনি যখন গতানুগতিক বিষয়ের বাইরে ভাবতে শুরু করবেন, তখনই প্রতি পদে পদে বাঁধা আসে। আর যারা এই বাঁধা অতিক্রম করতে পারে তারাই জয়ী হোন। আমার পরিবারে আমার মায়ের পাশাপাশি দাদি আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। বিশেষ করে এইচএসসি পরীক্ষার পর কি করবো বুঝতে পারছিলাম না, তখন দাদি আমার সার্বক্ষনিক সঙ্গী ছিলেন। আমার পরিবার আমার সাথে আছে, তাই সব বাঁধাই অতিক্রম করতে পেরেছি, নিজের পেশাগত জীবনকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে সামর্থ হয়েছি। পরিবারের আন্তরিকতা ছাড়া এবং নিজের অদম্য ইচ্ছা ছাড়া এটা কখনোই সম্ভব হতো না।
আপনার কাজের বিবরণ জানাবেন কী পাঠকদের, কেমন আনন্দ নিয়ে কর্মক্ষেত্রে কাজ করেন বিস্তারিত জানতে চাই?
আমি আমার কর্মক্ষেত্রে খুব আনন্দ নিয়ে কাজ করি কারণ, আমার কাজ আমাকে আনন্দ দেয়। আনন্দ ছাড়া কাজ করা যায় না। আমি স্টার স্পোর্টসে কমেন্ট্রি করি, আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশে আম্পায়ারিং করি। এসি রুমে বসে কমেন্ট্রি করার চেয়ে মাঠে আম্পায়ারিং করা বেশি পছন্দ করি। কারণ, মাঠের মধ্যে থেকে খেলাকে বেশি উপভোগ করা যায়। যেহেতু সারাজীবন ক্রিকেট খেলেছি আর চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি, তাই মাঠে থেকে খেলাকে দিক নির্দেশনা দেয়া, নিজেকে প্রমাণ করারও একটা বিষয় আছে। প্রতিটি বল খুব পর্যবেক্ষণ করে সঠিক সিদ্ধান্ত জানানো আমার কাজের পরিসরকে আরো বড় ও অর্থবহ করে তুলেছে। ম্যাচের শেষ বল পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা, কোন দল হারবে/কোন দল জিতবে এসব নানা বিষয় আমার আম্পায়ারিং জীবনের একেকটি দিনকে খুব আনন্দময় করে তুলছে।
যারা আপনার মতো হতে চান তাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলবেন? কিভাবে তারা নিজেদের প্রস্তুত করবে?
যেদিন প্র্যাকটিসে যেতাম-আমার টিশার্ট ঘামে ভিজে যেতো, ট্রাউজার ময়লা হয়ে যেতো সেদিন মনে হতো আমি ঠিক মতো প্র্যাকটিস করছি। আমাদের একেকজনের একরকম স্বপ্ন, আপনি যেই স্বপ্নই দেখুন না কেন-আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কোনো কিছু একদম তৈরি হয়ে আসে না। সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত কিছু বিষয় থাকে, তবে পরিশ্রম না করলে কোনো কাজে সফলতা আসে না। পরিশ্রম এবং চর্চার বিকল্প আর কিছু নেই। আর স্বপ্নটা দেখার ব্যাপারে খুব দৃঢ় হতে হবে, মাঝপথে থেমে যাওয়া যাবে না। একসাথে অনেক অপশন না রেখে একটা বিষয়ে দৃঢ়তা রাখতে হবে। নিজস্ব কিছু যুক্তি নিয়ে, আবেগ নিয়ে, টিকে থাকতে হবে।
আপনার পরিবার কিভাবে দেখে আপনার ক্যারিয়ার, আপনার এই সফলতা?
টক অফ দ্যা টাউন হলে একটা মানসিক চাপ থাকে। আমার ব্যাপারটা অনেকটা বিতর্কিত ছিল। পজেটিভ কমেন্ট ছিল, নেগেটিভ কমেন্টও ছিল। আমার বাবা শুধু ফোন করে একটা কথাই বলেছিল- “মা, তোমার দাদা কখনো মাথা নিচু করেননি, আমি করিনি, তুমিও কখনো করবে না, আমি জানি। মন খারাপ করো না, একটা খারাপ সময় যাচ্ছে, এটা ঠিক হয়ে যাবে।“ আমার আব্বু আম্মু আমাকে ছোটবেলা থেকেই সমর্থন করে আসছে। এখন কেউ যখন আব্বু-আম্মুকে বলে আপনি জেসীর আব্বু/আম্মু তখন খুব ভালো লাগে। আম্মু আব্বুর জন্য, এটা আমার পরিবারের জন্য অনেক বড় পাওয়া। এই সম্মান, যা আমি অর্জন করে নিয়েছি।
কর্মক্ষেত্রে নারী এবং পুরুষ এই দুটি বিষয়ে অনেকেরই বন্ধুভাবাপন্ন বোধ আছে, এইক্ষেত্রে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?
আমার সবসময় পুরুষ কলিগদের সাথে কাজ করতে হয়। আমার যতো মেয়ে কলিগ আছে, সবাই পুরুষ কলিগদের থেকে সহযোগিতা পায়। পুরুষ কলিগটির সাহায্য ছাড়া সুন্দর একটি ম্যাচ উপহার দেয়া সম্ভব নয়। পুরুষ কলিগরা খুব পিজিটিভ। তাদের কাছ থেকে আমি যা জানি না, তা শিখে নিয়েছি। তারা সাহায্য করেছেন বলে নিজের ভুলগুলো শুধরে আজকের জেসী হতে পেরেছি। আমি সবার থেকে শিখি, আমার চেয়ে ছোট/বড় সবার থেকে। এই লেভেলে এসেও এখনো অনেককিছু অজানা আছে। আমি সবসময় প্রশ্ন করি, তাদের থেকে জানি এবং শিখি।
আপনার এমন কেউ আছে যাকে আপনি ফলো করেন/যার আম্পায়ারিং আপনার ভালো লাগে?
ছোটবেলা থেকে আম্পায়ার হবার ইচ্ছে ছিল না বলে হয়তো কাউকে ফলো করা হয়নি। তবে বিলি বার্ডেন যেভাবে ৪/৬, আউট দিতেন তা দেখে খুব মজা লাগতো। আগে যখন ক্রিকেট দেখতাম/খেলতাম তখন ওতোটা খেয়াল করা হয়নি। এখন বড় বড় ম্যাচগুলো খেয়াল করি, বিষয়গুলো নিয়ে জানার চেষ্টা করি, শিখি। বাংলাদেশের সৈকত ভাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যে পর্যায়ে গেছেন, মাঝে মাঝে উনার সাথে কথা হয়। বড় ম্যাচের আগে একটা মটিভেশন খুব দরকার হয়। আমাদের কোচ আছেন, মেনটর আছেন। উনি হয়তো একই কথাই প্রতিবার বলেন তবুও এই কথাগুলোই আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
নিজের জীবনের জন্য প্রতিটি মানুষের আনন্দ, ভ্রমণ এবং বিনোদন প্রয়োজন। নারীর আনন্দ-বিনোদন এবং ভ্রমণ, সেটিকে কীভাবে দেখেন আপনি?
হ্যাঁ, এই ভ্রমণ, বিনোদন খুব প্রয়োজন। আমি প্রতিটি খেলার পরে ঘুরতে যাই। একমাসের একটা লম্বা টুর্নামেন্টের পর দেশের বাইরে কোথাও ঘুরতে যাই, তিন চারদিনের একটা ছুটি কাটাই, রিফ্রেশ হয়ে আসি। দেখা গেলো, ইন্ডিয়ায় টুর্নামেন্ট হচ্ছে, খেলা শেষ হবার পরদিনেই আমি তিনদিনের জন্য কাশ্মীর চলে যাই। আমি জাস্ট এশিয়া কাপের আগে একমাসের জন্য ইন্ডিয়া থেকে ঘুরে আসি। আমার হাসবেন্ড এই বিষয়টি খুব ভালো করে বুঝতে পারে যে এত বড় একটা কাজের পর নিজেকে রিফ্রেশ করার প্রয়োজন আছে। এজন্য আমি মনে করিঃ প্রত্যেকটি মানুষের কাজের বাইরে, দেশে/বিদেশে ঘুরতে যাওয়া খুব দরকার।
একজন বাংলাদেশী হিসেবে বিদেশের মাটিতে নিজেকে আম্পায়ার হিসেবে কখনো দেখবেন ভেবেছিলেন, এই বিষয়টা কেমন লাগে?
বিদেশের মাটিতে নিজের দেশের জাতীয় সংগীত শুনলে চোখে পানি আসে, শিহরিত হই। কৃষক, শ্রমিক,আর্মি,পুলিশরা যেমন দেশের জন্য কাজ করছে, আমরাও দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছি। সেক্টর ভিন্ন হলেও বিদেশের মাটিতে আম্পায়ারিং -এ অন্য সবার মতো দেশের নাম উজ্জ্বল করে যাচ্ছি। এতদিন লাল-সবুজের জার্সি গায়ে দিয়ে মাঠে খেলেছি। এখন যেহেতু একটা সুযোগ পেয়েছি নিজেকে প্রমাণ করার, বিশ্বের সেরা আম্পায়ার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ারের সমাপ্তি করতে চাই। এটাই আমার লক্ষ্য। যেখানেই ঘুরে বেড়ান না কেনো, যত ফাইভ স্টার হোটেলে ডিনার করেন না কেনো, দিনশেষে নিজের দেশেই ফিরতে হবে, নিজের বিছানাটাই আপন মনে হবে, মায়ের হাতের রান্নাটাই পৃথিবীর সবচেয়ে সুস্বাদু খাবার বলে মনে হবে।
আমরা সকলেই সুখপ্রিয়, কর্মময় জীবনও সুখের… এই লাইনটি আপনার জীবনের সাথে কতটা যুক্তিযুক্ত?
কর্মময় জীবনটা সুখের হওয়া খুব জরুরী, তাহলে মনোযোগ দিয়ে কাজটা ভালো করে করতে পারবেন এবং একটা সময় পরে আপনি সফল হবেন। জীবন ও জীবিকার তাগিদে অনেক সময় আমাদের অনেক কিছু করতে হয়। কিন্তু তাতে আনন্দ থাকে না। সেদিক থেকে আমার কাজে আমি আনন্দ পাই, আমার কাজের নির্দিষ্ট সিডিউল আছে; কোন ম্যাচগুলো করবো, কোন ম্যাচগুলো করবো না। যখন মনে হয় এর বাইরে এমাসে আর একটি কাজ করবো না, সেক্ষেত্রে আমার নিজের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কাজেরক্ষেত্রে আমার পুরো স্বাধীনতা আছে। কাজকে ভালোবাসি বলেই আমার কর্মময় জীবন সুখের হয়েছে।
পরবর্তী প্রজন্মের নারীদের জন্য কি বলতে চান?
পরবর্তী প্রজন্ম আমি আশা করি অনেক ভালো করবে, কারণ তারা অনেক কিছু রেডি অবস্থায় পাবে। প্রথম যারা শুরু করে, তাদের জন্য বেশি চ্যালেঞ্জ থাকে, কষ্ট বেশি করতে হয়। সেক্ষেত্রে তাদের জন্য প্রতিটি সেক্টরেই অনেক কিছু প্রস্তুত করাই থাকবে। তাই তাদের জন্য নিজেকে প্রমাণ করা আরো সহজতর হবে, বলে আমি মনে করি।