সুজন চাষি ভোগে বারোমাসই
অভাবে, ঋণ আর পীড়ায়
শীত-শাওনে অভাগা বানভাসি
জলে ভেজে পোড়ে খরায়।
খটখটে মাটি কোদালে কাটি
বপন করে বীজের কণা
ফলিত শস্য তোলে পরিপাটি
ভূপতি শুষে বারোটি আনা।
গোলপাতার গৃহ তামাটে দেহ
জীর্ণ বস্ত্রে দৈন্যের ছাপ
হাসিমাখা ঠোঁট, দেখে ধরে স্নেহ
বড়ো মিঠা তাঁর বাক্যালাপ।
থালাবাটি ঘটি, যতটুকু মাটি
ভাঙনে নদী খেলো বৈভব
চাষী দিশেহারা, নায়ে গড়ে ঘাঁটি
অকূলে ভাসে প্রাণেরা সব।
লেখাঃ মিতালী দেবী