কেউ একজন বলেছিলো
তোমাকে ভীষন ভালোবাসি,
আমি বলেছিলাম-কেন?
সে বলেছিলো-
তোমার চোখ দুটো সুন্দর, কণ্ঠস্বর শুনতে ভালো লাগে, খুব মিষ্টি করে কথা বলো তুমি, তোমার ঠোঁটের নিচের কালো তিলটা দেখে যে কেউ প্রেমে পড়বে আমিও তাই তোমাকে ভালোবাসি ।
আমি বুঝেছিলাম,
এটা তার ভালোবাসা না, এটা তার ভালোলাগা-
তাই তাকে আর ভালোবাসা হলো না ।
একজনকে একটা-
গোলাপ দিয়ে বলেছিলাম ভালোবাসি।
তারপর কিছুদিন পর গোলাপটা তার কাছে চাইলাম-
সে বলেছিলো-
গোলাপটা শুকিয়ে গেছে- কেমন বিবর্ণ হয়ে গেছে তাই ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছি।
বুঝে গেলাম
সে সৌন্দর্যের পূজারী, সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেলে সে গোলাপের মতো-আমাকেও ছুঁড়ে ফেলে দেবে।
তাই তাকে ও আর ভালোবাসা হয়নি।
আর একজন এসেছিল-
সম্পর্কের শুরুতে তার ভালোবাসা ছিলো সীমাহীন
কিন্তু কিছুদিন-
যেতে না যেতেই শুরু হলো তার অবহেলা।
বুঝলাম, সে নতুনে মুগ্ধ,
পুরোনো হলে- তার আর আগের মতো ভালো লাগে না ।
ওখানেই শেষ হলো আমার প্রত্যাশা,
জীবনে-
ভালোবাসা পাওয়ার অযোগ্য মানুষটাকে- ভালোবাসার থেকে, সারাজীবন সঠিক মানুষটার জন্য অপেক্ষা করা ভালো ।
সে জীবনে এলে, তোমার সৌন্দর্য কে নয়-
তোমার ব্যক্তিত্বের প্রেমে পড়বে ।
তার কাছে তুমি কখনোই পুরোনো হবে না ।
তোমার দেওয়া গোলাপটা শুকিয়ে মলিন হয়ে যাওয়ার পরও-
যত্ন করে রেখে দেবে তার প্রিয় বইটির ভাঁজে
ঠিক যেমন তোমাকে হৃদয়ের গহীনে যত্ন করে রাখবে সারাজীবন।
লেখাঃ নাজনীন রহমান