ঈদ মানে ভালোবাসা ফুল রাশি রাশি
বাড়িতে মায়ের হাতে প্রায়শই বেগম পত্রিকা দেখতাম। রান্না আর বিভিন্ন কাজের ফাঁকে এই পত্রিকা ছিল মায়ের নিত্যসঙ্গী। একটু বড় হলে মায়ের হাত ধরে যাত্রা শুরু। ছবি আঁকা ও গানের হাতেখড়ির জন্য পাঠানো হলো কেন্দ্রীয় কচি কাঁচার মেলায়। সেখানে গিয়ে পরিচিত হলাম খ্যাতিমান শিশুসাহিত্যিক রোকনুজ্জামান খান, সবার প্রিয় দাদাভাইয়ের সাথে। কিছুদিন পর জানতে পারলাম সম্পাদিকা নুরজাহান বেগম তাঁরই সহধর্মিণী। তারপর বেগম সম্পাদিকাকে কাছে থেকে দেখলাম। কী সুন্দর দেখতে , তাকিয়ে থেকে বিস্মিত হতাম তাঁর অভিব্যক্তি দেখে।
নিমাই ভট্টাচার্যের মেমসাহেব বইটির দিকে যতবার তাকাই ভাবতে থাকি আমাদের ভাষা সাহিত্যের ব্যাপ্তি নিয়ে, চর্চা নিয়ে। এঁকে আরো কিভাবে ছড়িয়ে দেয়া যায় তা নিয়ে। আর ভাবতে থাকি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম কি তৈরি করা যায়, যেখানে শুধু মেমসাহেবের মতো উন্নত মনের, মননশীল নারীরা তাদের নিজেদের কথা বলবে, উন্নয়নের দিকে ধাবিত হবে প্রতিনিয়ত। নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করবে, একজন নারী অন্য একজন নারীর পাশে দাঁড়িয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
তাই বেগম পত্রিকার আলোকে সকল মেমসাহেবকে একটি ছাতার নিচে- রোদ, বৃষ্টি, আলো, ছায়ার মাঝে সাহিত্য, উন্নয়নে, সমাজ কল্যাণে দুইটি হাত বাড়িয়ে দেয়ার আয়োজনে আজকের এই মেমসাহেব।
প্রিয় পাঠক ও লেখক
প্রথমবারের এই ঈদ সংখ্যায় প্রায় শতাধিক লেখা জমা পড়েছে মেমসাহেবের ঠিকানায়। আপনাদের এত ভালো লেখা বিস্মিত করেছে, আমাদেরকে আরো বেশি উৎসাহিত ও আলোড়িত করেছে। আপনাদের লেখা কবিতা, গল্প, ঈদের স্মৃতি যেনো নস্টালজিক করেছে মেমসাহেবের পুরো মহলকে। আপনাদের ভালো লাগায়, ভালোবাসায় সিক্ত মেমসাহেব পরিবার। সবাইকে জানাচ্ছি কৃতজ্ঞতা, একদম হৃদয়ের অন্তঃস্থলে আপনারা জায়গা করে নিয়েছেন।
আশা করছি, সাহিত্যঙ্গনে আপনাদের পদচারণা অনুপ্রাণিত করবে আগামী প্রজন্মকে, সমৃদ্ধ করবে রাষ্ট্রকে।
আমাদের এই পথ চলা যেন হয় আনন্দের, আমরা যেন এগিয়ে যাই একসাথে অনেকদূর।
সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদের আনন্দ বয়ে আনুক শান্তি আর সমৃদ্ধি।
সকলের মঙ্গল হোক।
সম্পাদক
মেমসাহেব
ইলোরা শারমিন রাজ্জাক