বুনো চুম্বন

ঝুপ করে সন্ধ্যেটা নামতেই পাহাড়ের গা বেঁয়ে একটা লাল আলো চুইয়ে সামনে বিছানো ফিতের মত নদীতে মিশে যায়। চিকচিকে সেই রূপে মহোগ্রস্থের মত তাকিয়ে থাকে নাবিলা। এই ফরেস্ট বাংলোর বারান্দা থেকে যতটুক দেখা যায় তা সারাদিনের একাকীত্বের ভারী দীর্ঘশ্বাসকে কমাতে পারে না সত্যি কিন্তু মন ভরিয়ে দেয় অনাবিল মুগ্ধতায়। বারান্দার হ্যামকে, অথবা রকিং চেয়ারে কফি খেত খেতে কতবার উড়ে যেতে দেখে সাদা বক, অথবা বাইনোকুলারে চোখ রেখে বানরের হুটোপুটী এমনকি বন্য হাতির দল পর্যন্ত দেখা হয়েছে। বাংলোয় রান্না করতে আসা লছমীর মেয়ে রাঁধার সাথে বনের অনেক গভীর পর্যন্ত গিয়েছে নাবিলা। সত্যি বলতে এখানে আসার পর নিজেও বেশ কয়েকদিন একা একা ঢুকেছে। গহীন বনের একটা অদ্ভুত আকর্ষণীয় ক্ষমতা আছে। তা যেন অবিরত হাতছানি দিয়ে ডাকে।

আরিফ এসব কিছুই জানে না। জানলে সোজা পাঠিয়ে দেবে ঢাকা। এ জঙ্গলে নাকি চিতা বাঘ আছে। রাঁধা বলেছে। আরও আছে বন দস্যু। তবে এর থেকে রাঁধার ভয় “কন্ধকাটা” ভূতে। বুজছিস দিদিমনি, আমাদের ঘরের পেছনে একটা ছোটো ডোবার পাশে একবার দেইকছি, দেখেই আমি ফিট। ষোল বছরের রাঁধার বিয়ে হয়েছে, কোলে একটা ছেলে, কানু। সুযোগ পেলেই মায়ের বুকে হামলে পরে দুধ খায়। কিন্তু রাঁধার সংসারে নাকি তেমন মন নেই তাই তার স্বামী উধাও। ওরা নাকি শুনেছে অন্যত্র বিয়ে করেছে সে।  লছমী সারাক্ষণ মেয়েকে গালিগালাজ করতে থাকে। নাবিলা  বাধা দেয়। তখন দুঃখ করে বলে, এই গেছো মেয়েকে নিয়ে কি করি দিদিমণি! সোয়ামী ভাইগছে কি আর সাধে! নাবিলা ভাবে সে নিজেই  বা কম কি? কিন্তু রাঁধার মত হওয়া হবে না কোন কালে। রাঁধা, ছেলেকে বুকে বেঁধে তরতর করে গাছে ওঠে, পাহাড়ী পথ ডিঙোয়, ডিঙি নৌকো একা ঠেলে মাঝ নদী থেকে হাত বাড়িয়ে ধরে ফেলে ছটফটে রূপালী কোন মাছ।  নাবিলা  শুধু এক নিষিদ্ধ আকর্ষণে মাঝে মাঝে বনে হাঁটে। সেই বন একই সাথে ভয়ঙ্কর আর সুন্দর। কোনদিন রাঁধা থাকে কোনদিন থাকে না। যেদিন রাঁধা থাকে না বেশিদূর যাওয়া হয় না নাবিলার।

বিকেলে যখন আরিফ বাংলোয় ফেরে তখন নাবিলা রাঁধার জবানে ওর বন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বলতে থাকে। কিন্তু আরিফ যে মন দেয় না সে কথায় সে বেশ টের পায়।

তারপর আর আগ্রহ জাগে না কিছু বলতে।

রাঁধার সাথে এক অসম সখ্য গড়ে ওঠে নাবিলার। রাঁধার সাথে ২৬ বছরের নাবিলাও ষোড়শী বনে যায় গল্পে গল্পে। বাংলোর গার্ড নাজিমুদ্দিন একদিন মিনমিন করে বলে, বিবিসাব, এরা জংলী মানুষ, ছোট জাত, এদের সাথে এতো মিশা ঠীক না। নাবিলা কড়া চোখে তাকিয়ে বলে, আপনার কথা শেষ?

নাজিমুদ্দিন মাথা নিচু করে চলে যায়। কিন্তু আরিফ এক বিকেলে এসে বলে, বাসার কাজের লোকদের সাথে এতো কথার দরকার নাই।

-মানে,?

-ঐ যে লছমী রাণীর যে মেয়েটা আসে ওকে কাল থেকে আসতে মানা করেছি। তুমি নাকি ওকে নিয়ে বনে যাও?

-দু এক বার গেছি, নাবিলা মিন মিন করে মিথ্যে আওড়ায়।

-কৈ, আমাকে তো বলোনি কখনো। জঙ্গলে কত বিপদ কোন ধারণা আছে তোমার?

নাবিলা চুপ করে থাকে।

আরিফ কিছুটা নরম গলায় বলে, জানি তোমার একলা লাগে, তুমি বই পড়, ছবি দেখ, কিন্তু এখানকার স্থানীয় লোকদের সাথে মিশতে যেও না। ঐ রাঁধা মেয়েটার শুনলাম কোন একটা বনদস্যুর সাথে যোগাযোগ আছে। আমি কোন ঝামেলা চাই না বাবু!

রাঁধা আর আসে না। নাবিলা গল্পগুচ্ছের পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে রকিং চেয়ারে ঘুমায়। লছমীর ওপরে আসা নিষেধ। সে রান্না করে নিচ থেকেই চলে যায়। নাজিমুদ্দিন বিকেলের দিকে ওপরটা ঝাড়পোছ করে চলে যায়। আরিফ ট্রান্সফারের জন্য চেষ্টা করছে। এই বন তার ভাল লাগে না। কিন্তু নাবিলার এখান থেকে যেতে ইচ্ছে করে না।

একদিন বারান্দায় দুপুরের জ্বলজ্বলে নদীতে চোখ রেখে হঠাৎ দেখে একটা ডিঙি নৌকো। বাইনোকুলারে চোখ রেখে দেখে, রাঁধা। নাবিলার মন চঞ্চল হয়ে ওঠে। ও ভুলে যায় আরিফের বিধি নিষেধ। দুদ্দাড় করে বেরিয়ে পরে নদীর কাছে। সত্যি রাঁধা। পাড় থেকে নাবিলা চেঁচায় হাত তুলে। রাঁধা চিনে নেয়। ডিঙি ভেড়ায়। দুজন দুজন কে জড়িয়ে ধরে। যেন কতকালের মিতালি তাদের। বাঁধ ভাঙা জোয়ারের মত কলকল করে কথা হয় দুজনার। হাত ধরে রাঁধা তাকে ওঠায় তার ডিঙি নৌকায়। নাবিলা কিশোরীর মত উত্তেজনা বোধ করে। সেই সরু নদী দূর থেকে সরু মনে হয়, কিন্তু জল অনেক। সেই নদীতে জলে বাতাসে মাখামাখি হয় দুই অসম বন্ধু। তারপর সূর্য যখন আকাশের কোমরে হেলে পড়েছে তখন রাঁধা হুঁশ ফেরায়। সিন্ডারেলার মত  ঘরে ফেরার তাড়ায় নাবিলা ছুট লাগায়। পেছনে রাঁধার কোন একটা হুশিয়ারি কানে পৌছালেও মাথায় ঢোকে না। বিকেলের আলো ছায়ায় জঙ্গলের পথ অচেনা লাগে। হঠাৎ একটা না দেখা গাছের ডাল সজোরে লাগে কপালে। নাবিলা মাথা ঘুরে পড়ে যায়। ঘাসের কোলে পড়ে থাকে নাবিলার অচেতন দেহ।

একটা অদ্ভুত গন্ধ নাবিলার নাকে লাগে। সে যে অচেতন ছিল সেটা বুঝতে তার কয়েক মুহূর্ত লাগে। তারপর ধরমরিয়ে উঠে বসতে চায়। মাথাটা চিন করে ওঠে। নিজেকে সামলে চারপাশ দেখে। একটা তাঁবু। একটা পাতলা চৌকী। সেখানেই সে শুয়ে ছিল। একটা সার্ট তার শরীরে। কি সর্বনাশ! তার পরনের শাড়ী ব্লাউজ কোথায়? ভয়ানক শঙ্কায় তার ভেতরটা কাঁপে। কাঁপা পায়েই উঠে দাঁড়ায়। তারপর উকি দেয় তাঁবুর বাইরে। বাইরে নানা বয়সী পুরুষ। কারো হাতে বন্দুক, কারো হাতে কিরীচ, কেউ বা খালি হাতেই ঘুরছে। এরা কি বনদস্যু? ওরা কি তার অচেতন অবস্থায় কিছু? নাবিলার গগণবিদারী হাহাকার আসে, সে মুখ চেপে ধরে। কিন্তু তাকে তো এখান থেকে বের হতেই হবে। কিন্তু কিভাবে? ভাবতে ভাবতে চৌকিতে আবার বসে পড়ে। ঠিক তখন সুঠাম দেহী এক অচেনা মানুষ ঘরে ঢোকে। নাবিলা চমকে পিছিয়ে যায়। মানুষটি  তাকে অশ্বস্ত করার মত কিছু একটা বলে, কিন্তু নাবিলার কানে বা মগজে তা পৌঁছায় না। সে লোকটিকে ধাক্কা দিয়ে তাঁবু থেকে বেরিয়ে পড়তে চায়। কিন্তু লোকটি যেতে দেয় না। নাবিলা ছটফট করতে থাকলে শক্ত আলিঙ্গনে বাঁধে। তারপর কানের কাছে ফিসফিস করে বলে, ইখানে তুই আমার জরু আছিস বিবিসাব। এই পরিচয় লা দিলি তরে এরা ছিঁড়ি খাবি।

নাবিলা ঝিমিয়ে পড়ে। তারপর ফোঁপাতে ফোঁপাতে বলে, আমি ফরেস্ট বাংলোয় যাব। ওখানে আমার স্বামী আছে। প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন।

সেই যুবক তাকে অবাক করে যে ঘটনার বর্ণনা করে তা শুনে নাবিলা কি করবে ভেবে পায় না।

নাবিলা যখন জ্ঞান হারায় তখন সেই যুবক পাশেই ছিল। সে নাবিলাকে পাঁজাকোলা করে নিয়ে আসে তার ডেরায়। আস্তানার সবাইকে জানায় সে তার হারিয়ে যাওয়া বৌ। এদিকে রাঁধাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় যে ঐ আস্তানায় রান্না করতে আসত। যুবক ভাবে রাঁধার মুক্তির বিনিময়ে নাবিলাকে ফিরিয়ে দেবে সে। এই বিষয় দলের কাউকে সে বলতে পারেনি কারণ যেহেতু আগে বৌ পরিচয় দিয়েছে। এখন জানলে ওরা বলবে নাবিলাকে মেরে ফেলতে। সেটা সে চায় না।

নাবিলা বলে, আমাকে বাংলোয় যেতে দিন , আমি রাঁধাকে মুক্ত করব।

বিষয় এতো সহজ লয় বিবিসাব। থানার বড় বাবু টাকা ছাড়া নড়ে না। তোমার বরের থেকে টাকা নিয়েছে, এখন তোমার বর তো রাঁধার জন্য টাকা ফেলবে না। তোমার বরকে চিঠি দিয়ে এসেছি। কাল পরশু তার উত্তর জেনে তোমাকে ফিরিয়ে দেব।

নাবিলা অস্থির অক্ষমতায় কাঁদে। তারপর বলে, আমার যখন জ্ঞান ছিল না তখন কি।

বনদস্যুটি যেন বোঝে, তোমার অসম্মান হয়নি বিবি সাব, আমি মেয়েমানুষের অসম্মান করিনা।“

তাহলে আমার পোষাক?

পোষাক না বদলে উপায় ছিল না। তুমি জ্বরে কাঁপছিলে। কাপড় খুলে মোটা কম্বল দিয়েও হচ্ছিল না। তখন সবাই কইল জড়ায় ধরতি।

নাবিলা ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে, যুবকটি বলে, না, না, বিশ্বাস কর বিবি সাব, আর কিছু হয় নাই।

নাবিলা কেন যেন এই দস্যুর কথা অবিশ্বাস করতে পারে না। সে তার চোখের দিকে তাকায়। তারপর আনমনে বলে, আপনার নাম কি?

বল্লভ বিবিসাব। রাঁধা আমার বোন।

আমি চমকে উঠি।

বল্লভ বলে, আমার মা আমারে মানে না, রাঁধা আড়ালে আড়ালে আসে, রানধাবাড়ী করে দিয়ে যায়।

নাবিলা বল্লভের চোখের দিকে তাকায়, রাঁধার মতোই মেটে মেটে চোখের তারা। খাড়া নাক পুরু ঠোঁট আর পাথরের মত শরীর। নির্লোম চওড়া বুক নির্মেদ পেষীবহুল পেটে গভীর নাভি।  নাবিলা হঠাৎ সম্বিৎ ফিরে পায় যেন। কি দেখছিল সে?

দুপুরের দিকে খিচুড়ির মত কিছু একটা নিয়ে বল্লভ আসে। নাবিলা খেতে চায় না। বল্লভ জোর করে তার হাতে খাইয়ে দেয়। তারপর চুলে বিলি কেটে চুল বেঁধে দেয়। নাবিলার এখন ভয় করে। অন্য রকম ভয়। এই ভয় নিজেকে হারানোর ভয়। নাবিলা নিজের সাথে মুখোমুখী হতে ভয় পায়।  একটা প্রচ্ছন্ন আকর্ষণ সময়ের সাথে বাড়ছে। সে এই আকর্ষণ এই পরিস্থিতিতে চায়নি।

গভীর রাতে তাঁবুর পর্দা সরিয়ে বল্লভ আসে। শক্ত করে জড়িয়ে ধরে গলায় কামড় বসায়। নাবিলা ধড়মড় করে উঠে বসে। এই স্বপ্ন কি ইংগিত দিচ্ছে? গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়। বল্লভ হয়তো বাইরে পাহাড়ায়। রাঁধার ভাই হয়ে সে কি তার ক্ষতি করতে পারে? বিশ্বাস হয় না।

ভোর হয়। বল্লভ তাঁবুতে ঢুকে বলে, আজ বিকেল নাগাদ ছাড়া পেয়ে যাবে বিবিসাব।

নাবিলা অজান্তে বলে বসে, এত জলদি?

বল্লভ একটু অদ্ভুত ভাবে চেয়ে বলে, “ হূম… তোমার সোয়ামী রাঁধাকে ছাড়ার বন্দোবস্ত করেছে। তোমার শাড়ী পরে তৈয়ার  হয়ে রোয়ও।

আমি শাড়ী পরে নিয়েছি। বল্লভ আমাকে দেখে মুগ্ধ চোখে বলল, তোমায় দেখতে বড় সুন্দর লাগছে বিবিসাব।

নাবিলা মাথা নিচু করে ভাবছে, আরিফের কতো প্রশ্নের জবাব তাকে দিতে হবে। অথচ, এই অবরুদ্ধ অবস্থায় এই একটা দিনে যেন অর্ধেক জীবনের অদেখা অচেনা আনন্দের মাঝে সে ছিল কিন্তু পুরো বিষয়টাই তো শঙ্কার, এখানে বহু যুক্তি দিয়েও আনন্দের কিছু পাওয়া যায় না। নাবিলা বল্লভের দিকে তাকায়। বল্লভ পায়ে পায়ে  কাছে আসে। নিচু গলায় বলে, বিবি সাব, আমাকে ভুলে যাবি, তাই না?

নাবিলা হঠাৎ খেয়াল করে, তার চোখ গড়িয়ে এক ফোঁটা জল নামল। নাবিলা তা আড়াল করে নেয়। কিন্তু বল্লভ কি বুঝে যায়। ও আরও কাছে আসে। বলে, তোর সোয়ামী তোরে অনেক ভালবাসে, না?

নাবিলা ওপর নীচ মাথা ঝাঁকায়।

বল্লভ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, তোরে একটা কথা বলব? অবশ্যি কথাটা শুনে তুই আমাকে খারাপ ভাববি।

নাবিলা  বল্লভের দিকে তাকায়।

তুই যেদিন আমার ঠাই এলী, সেদিন চাইলেই পারতাম তোরে নষ্ট করতে, তখন তো জানতাম না তুই রাঁধার দিদিমনি। যখন তোর কাপড় বদলালাম তখন মাথা ঝিমঝিম করতেছিল। কিন্তু যখন তোর মুখের পানে তাকালাম বুকের ভিতর কেমন ব্যথা করে উঠল। এরকম আমার আগে হয়নি কখনো। তোর কাছে এলেই বুকের ধুকপুকানি বেড়ে যায়, এই দেখ; বলেই বল্লভ হঠাৎ নাবিলার হাত নিজের খোলা বুকে চেপে ধরে। নাবিল হাত ছুটিয়ে নেয়। ইচ্ছের জোড়া স্রোতে অনিচ্ছা লাগাম টানে। বল্লভও নিজেকে সামলে নেয়।

বিকেলে মুখ ঢেকে বল্লভ নাবিলাকে নিয়ে বেরোয়। নাবিলার আনন্দিত হওয়া উচিৎ। কিন্তু কি এক বিচ্ছেদ ব্যথায় তার মন অবশ হয়ে আছে। নাবিলা ভেবে পায় না, এই দুর্দমনীয় আকর্ষণ কেন কি কারনে? সে বিবাহিত, তার স্বামী আছে। মাত্র দুএক দিনে সে স্বামীর কথা না ভেবে এক বন দস্যুর কথা ভাবছে। নাবিলা নিজের মন কে বোঝানোর চেষ্টা করছে। সাময়িক মোহ, কেটে যাবে। আর হাঁটছে গহীন অরণ্যের মাঝে।

হঠাৎ গোলাগুলি শুরু হল। বল্লভের দলের কেউ নেই। বল্লভ একা তাকে নিয়ে একটা গাছের আড়ালে লুকিয়ে বন্দুক ঠিক করে ফায়ার করতে থাকে। এর মধ্যেই একটা গুলি বল্লভের বুকে লাগে। বল্লভ লুটিয়ে পরে নাবিলার কোলে। নাবিলা হত বিহ্বল হয়ে বল্লভ! বল্লভ বলে চেঁচাতে থাকে। বল্লভের চোখে অদ্ভুত এক আকুতি। নাবিলার বুকে সেই আকুতির ঢেউ সজোরে ধাক্কা দেয়। নাবিলা চোখ বোজে, বল্লভ নাবিলাকে গভীর আলিঙ্গনে বাঁধে, বুনো চুম্বন দাগ রেখে যায়।

Scroll to Top