২৪শ এর আদিমতা

মোরা ২৪শে এসেও আদিমতার স্বাদ
পেয়েছি সবটা জুড়ে,
ডিজিটাল যুগে প্রাচীণভাবে মানুষ
মরেছে পথেঘাটে হায়েনার আঘাতে,
বুলেট, চাপাতি, ককটেল সেতো ভীষণ মামুলি
হেলিকপ্টার থেকে এলোপাথাড়ি
ছুড়েছে হায়েনারা গুলি।
বন্ধ ইন্টারনেট,বন্ধ সম্প্রচার,বন্ধ মুখের বুলি।

লাশের পাহাড়, বেওয়ারিশ লাশে পূর্ণ কবর, শ্মশান,
সবকিছুই গুরুত্বপূর্ণ শুধু গুরুত্বহীন মানুষের প্রাণ।
মোরা দেখেছি হেলিকপ্টারে ছুড়েছে গুলির বৃষ্টি
যা দেখে হয়েছে প্রতিবাদী এক তরুণ সমাজ সৃষ্টি।

মোরা দেখেছি জানালার ধারে নিরাপদ নয় শিশু
দানবীয় এক দমনপীড়ন যেন তারা হিংস্র পশু।
অন্যের পিপাসা মেটাতে হন্য আমাদের বীর মুগ্ধ,
বুলেটের আঘাতে নিমেষেই শহীদ
পুরো জাতি আজ স্তব্ধ।

তবুও কমেনি হায়েনার থাবা কমেনি অহংকার
স্লোগানে স্লোগানে ছাত্র সমাজ ছড়িয়েছে তাই হুংকার।
তবুও যেন নির্লিপ্ত সেই হুকুমদাতা নারী
ক্ষমতায় যেন সব তার তাই হয়েছে লাশের সারি।

প্রতিবাদী আজ ছাত্র সমাজ, প্রতিবাদী পুরু জাতি,
স্বাধীন করেছে নির্ভয়ে স্বদেশ পুনরায় বাঙালি।

মুখ লুকিয়ে পালিয়েছে সেই স্বৈরাচারি নারী,
হারিয়েছি মোরা কত কত প্রাণ ভুলতে না পারি।
চায়ের দোকানে আড্ডা জমেছে ফিরেছে মুখের বুলি,
স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছে যত বাকহীন বাঙালি।

পতাকা হাতে অশ্রু আর রক্তের স্রোতে ভেসে,
অগণিত বাঙালি উৎসবে মেতেছে পথেপ্রান্তরে,
শহীদ ফায়াজের মায়ের স্বীকারোক্তি,
পেয়েছে ছেলে হত্যার বিচার,
নাম না জানা সকল ত্যাগীর প্রশান্তি এসেছে আত্মার।

রক্তের বন্যায় ভেসে যেতে যেতে পেয়েছে সকলে কূল,
গুম হওয়া মানুষ আসছে ফিরে এ ও কি দেখার ভুল?
আর যেন নাহয় অশান্তি দেশে না হয় যেন দাঙ্গা,
বাঙালি বাঁচুক সুখে শান্তিতে
পূরণ হোক আকাংঙ্ক্ষা।

লেখাঃ আঁখি বিনতে আলম

Scroll to Top