শুধু কথায় শব্দ বুনে যাওয়া এক তুমি,
আগে তোমাকে চিনতে পারিনি কেনো, তা জানি না?
ছোট্টবেলায় বইয়ের পাতায় পাতায় কতরকম ছন্দে তোমায় লেখা থাকতো।
ছোট্টবেলায় বইয়ের পাতায় পাতায় কতরকম ছন্দে তোমায় লেখা থাকতো।
চেয়ারে বসে, টেবিলে পা ঝুলিয়ে, ঘরের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে নানা পৃষ্ঠা উলটে, মুখস্ত করতে হতো।
কখনো প্রথম, কখনো শেষের চার লাইন। কখনো মাঝের আট লাইন নিয়ে কত কি যে লিখতে হতো।
যদি তুমি জানতে?
যদি জানতে পরীক্ষার আগে তোমায় নিয়ে এত্ত হুলুস্থুল, তাহলে নিশ্চয়ই পাড়া ছেড়ে পালাতে। কোথায় বা যাবে বলো, নভেম্বরে সব পাড়াতেই একই বাদ্য বাজে।
কি যে ভয় পেতাম তখন! আমার কি দোষ, সব লাইন যে মাথার উপর দিয়ে যেতো। কেউ একটু সহজ করে দিতো না,
আদর্শ ছেলে কিভাবে হব? ছোট নদীটা কতটা গভীর ছিল? আমাদের গ্রামটা দেখতে কেমন ছিল?
আমার পণ মনে মনে কিভাবে অর্জন করতে হয়? বড় কে কিভাবে বুঝবো?
কেউ বুঝিয়ে দিল না, শুধু একটু পরপর বলতো পড়, ভালো করে। পরীক্ষায় ভালো করতে হবে। সেই থেকেই এত ভয় মাথায় করে ঘুরে বেড়াচ্ছি।
আদর্শ ছেলে কিভাবে হব? ছোট নদীটা কতটা গভীর ছিল? আমাদের গ্রামটা দেখতে কেমন ছিল?
আমার পণ মনে মনে কিভাবে অর্জন করতে হয়? বড় কে কিভাবে বুঝবো?
কেউ বুঝিয়ে দিল না, শুধু একটু পরপর বলতো পড়, ভালো করে। পরীক্ষায় ভালো করতে হবে। সেই থেকেই এত ভয় মাথায় করে ঘুরে বেড়াচ্ছি।
কিন্তু তুমি যে এত সুন্দর করে মনের কথা গুছিয়ে ছন্দ দিয়ে লাইনের পর লাইনে লিখে যাও, সেটা বুঝতে অনেক দেরি হয়ে গেলো।
এখন বুঝতে পারি তুমি কতটা হৃদয়ে, কতটা কাছের, আপন তুমি।
তোমাকে পড়লে, তোমাকে জানলে, তোমাকে লিখলে এতটা হালকা লাগে! কাউকে বলে বোঝানো যাবে না।
হাসি-কান্না, মুগ্ধতা, জড়তা, ব্যর্থতা সবকিছু দিয়ে তোমাকে আলিঙ্গন করা যায়।
কি অদ্ভুত সুন্দর তুমি, চারপাশটা ঘুরেফিরে অক্ষরে অন্ত্যমিলে কতভাবে বিস্মিত করে রাখো।
আমি প্রতিদিন তোমার প্রেমে পড়ি। যত তোমাকে জানি, বুঝি তত তোমার প্রেমে পড়ি।
তোমাকে পড়লে, তোমাকে জানলে, তোমাকে লিখলে এতটা হালকা লাগে! কাউকে বলে বোঝানো যাবে না।
হাসি-কান্না, মুগ্ধতা, জড়তা, ব্যর্থতা সবকিছু দিয়ে তোমাকে আলিঙ্গন করা যায়।
কি অদ্ভুত সুন্দর তুমি, চারপাশটা ঘুরেফিরে অক্ষরে অন্ত্যমিলে কতভাবে বিস্মিত করে রাখো।
আমি প্রতিদিন তোমার প্রেমে পড়ি। যত তোমাকে জানি, বুঝি তত তোমার প্রেমে পড়ি।
– কবিতা, অন্যরকম প্রেম
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩
সম্পাদক/মেমসাহেব/ইলোরা শারমিন রাজ্জাক