শরৎকালের কথা মনে হতেই
চোখে ভেসে ওঠে শরতের প্রকৃতি –
শারদীয় পূজার আমেজ।
দেবী দুর্গা দুরাবস্থার পরিত্রাণকারী
তাঁকে নিয়ে লিখে গেছেন,
কবি রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল উভয়ই;
দেবীর শ্রদ্ধায়-ও মহিষাসুরের প্রতি
তাঁর বিজয়ের সাক্ষী শারদীয় পূজা।
বসন্তকালের উৎসব হলেও
ভগবান রাম শরৎকালে সেটি পালন করে ।
বাসন্তী পূজা এখনো প্রচলিত।
তবে শারদীয় দূর্গাপূজা মহাসমারোহে পালিত।
এই উৎসবে বাপের বাড়ি হিমালয়ে
ফিরে যান দেবী দূর্গা।
জমজমাট আয়োজনে পালিত হয়
ভারত – বাংলাদেশের ভূমিতে।
আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষে
শারদীয় পূজার শুরু
দশ দিনের রমরমা আয়োজন।
আরম্ভ মহালয়া দিয়ে ।
আর সমাপ্তি বিজয়াদশমীতে।
মহালয়ার দিন পূর্ব পুরুষদের প্রতি
শ্রদ্ধার নিবেদন।
কোজাগরী পূর্ণিমায় দেবী লক্ষ্মীর পূজা।
দেবী দুর্গার মূর্তি গড়ে তোলা ।
তাঁর সাজসজ্জায় শুরু হয়
রং, তুলি ও শিল্পের খেলা।
প্যান্ডেলের জাঁকজমক আলোক সজ্জা
মণ্ডপে ঘুরে ঘুরে প্রতিমা দর্শন –
পারিবারিক ও সামাজিক মিলনমেলা ।
দুর্গোৎসব কে ঘিরে কেনা কাটার ধুম
পড়ে যায় শারদীয় মৌসুমে।
উৎসবে ধর্ম গ্রন্থ আবৃত্তি-
ভোজ সভার সাথে
শোভাযাত্রার আয়োজন থাকে ।
শারদীয় পূজার শেষ দিন
বিজয়াদশমিতে দেবীর ভাষ্কর্য
জলাশয়ে নিমজ্জিত হয় ।
দেবী ফিরে যান তার বৈবাহিক সংসারে।
লেখাঃ সাবরিনা খান